
নবীজীর নামে কুটুক্তি করেছে যারা আল্লাহ কাউকে দেয়নি ছেড়ে। বিশ্বমানবের মধ্যে নবীজী সবার উপরে নবীজীর দেখানো পথে অঠারোশো মিলিয়ন মানুষ হাঠে। কোন দিন কেউ করেনি অভিযোগ তুমি কোন হে পুরোহিত কে দিয়েছে সুযোগ। বিশ্ব মানবের জন্য হযরত মোহাম্মদ সোঃ আদর্শের প্রতিক। তার বিরুদ্ধচরন করে ধংষ হয়েছে হাজারো পুরোহিত।
🌟 ১. নবীজীর (সা.) নামে কটুক্তির ইতিহাস ও এর প্রতিক্রিয়া
ইতিহাসে বহুবার ইসলামবিদ্বেষী কিছু গোষ্ঠী বা ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নামে কটুক্তি করেছে বা অবমাননাকর মন্তব্য করেছে। এইসব আচরণ শুধুমাত্র মুসলিমদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতই নয়, বরং বিশ্বশান্তি ও সহনশীলতার পরিপন্থী।
🔥 যারা নবীজীর অবমাননা করেছে, তারা ইতিহাসে কী পেয়েছে?
- আবু লাহাব ও আবু জাহল—মক্কার বিখ্যাত কাফের নেতা, যারা ইসলাম প্রচারের শুরুতে নবীজীকে অবমাননা ও আক্রমণ করত। কুরআনে ‘তাব্বত ইয়াদা আবি লাহাব’ সূরায় আবু লাহাবের ধ্বংস ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তীতে অপমানজনক মৃত্যু তাদের ভাগ্যে জুটেছে।
- রোমান ও পারস্যের রাজারা, যারা ইসলাম ও নবীজীকে অবজ্ঞা করত, তারা তাদের সাম্রাজ্য হারিয়েছে।
- আধুনিক যুগেও যারা মুসলমানদের হৃদয়ের গভীরে থাকা এই মহান ব্যক্তিত্বকে কটাক্ষ করেছে, তারা ব্যাপক প্রতিবাদ ও নিন্দার মুখে পড়েছে।
🌍 ২. “বিশ্ব মানবের মধ্যে নবীজী সবার উপরে” কেন?
✅ ১. আখলাক বা চরিত্রে শ্রেষ্ঠ
القرآن: “তুমি তো মহৎ চরিত্রের অধিকারী।” (সূরা ক্বলম ৬৮:৪)
তিনি ছিলেন সততা, ধৈর্য, সহানুভূতি ও দয়ার এক অনন্য প্রতীক। যিনি তাঁর শত্রুকেও ক্ষমা করেছেন (তাইফের ঘটনা তার উদাহরণ)।
✅ ২. সাম্য ও মানবাধিকারের প্রচারক
- তিনি বলেন: “আরবের ওপর অনারবের, কিংবা শ্বেতাঙ্গের ওপর কৃষ্ণাঙ্গের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই; বরং তাকওয়া অনুযায়ী শ্রেষ্ঠত্ব।”
✅ ৩. নারীর সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন
- নারীকে ভোগ্যপণ্য থেকে রক্ষা করে উত্তরাধিকার, শিক্ষা ও সম্মানজনক মর্যাদা দেন।
🚶♂️ ৩. “নবীজীর দেখানো পথে ১৮০০ মিলিয়ন মানুষ হাঁটে” – ইসলামের বিস্তৃতি
আজ বিশ্বের প্রায় ১৮০ কোটিরও বেশি মুসলমান নবীজীর দেখানো পথ অনুসরণ করে:
- পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ
- রমজানের রোযা
- হজ্ব পালন
- সদকা, জাকাত ও মানবিকতা চর্চা
ইসলামের এই অগ্রগতি নবীজীর দাওয়াতের বিশুদ্ধতা ও নৈতিক শক্তির প্রমাণ।
⚖️ ৪. “তুমি কোন হে পুরোহিত কে দিয়েছে সুযোগ?” — ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় বাস্তবতা
এই লাইনটির মানে বোঝায়: যারা অন্য ধর্মের নাম ধরে ইসলাম ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হেয় করে, তাদের প্রকৃতপক্ষে সেই ধর্মেও নেই শিক্ষা বা বৈধতা কাউকে অবমাননা করার। বরং প্রকৃত ধর্ম সবসময় শান্তি, সৌহার্দ্য ও সহনশীলতার শিক্ষা দেয়।
🔚 ৫. উপসংহার: নবীজী (সা.) বিশ্বমানবতার শ্রেষ্ঠ আদর্শ
তিনি ছিলেন:
- শান্তির প্রতীক
- ন্যায়ের প্রতীক
- ক্ষমার প্রতীক
- আল্লাহর প্রিয় নবী এবং মানবতার প্রকৃত দিশারি
চূড়ান্ত কথা:
রাসুলুল্লাহ (সা.) কে অপমান করা মানে শান্তি, মানবতা ও ন্যায়ের প্রতীককে অপমান করা। ইতিহাস সাক্ষী যে যারা এ কাজ করেছে তারা ধ্বংস হয়েছে বা জনসমক্ষে তিরস্কৃত হয়েছে।