স্কুল জীবনের পড়া বন্ধু বান্ধবদের শুধু একটা কথায় বলতে চাই ইউনির্ভসিটি লাইফে যাওয়ার পর নিজের লেভেল বুজ

 

স্কুল জীবনের পড়া বন্ধু বান্ধবদের শুধু একটা কথায় বলতে চাই ইউনির্ভসিটি লাইফে যাওয়ার পর নিজের লেভেল বুজানোর জন্য ঐ যে র্ভসিটির ছেলেপেলেদের সাথে সেলপি তুলে নিজের স্টোরি ভরাট কার টাইমলাইনে বার্থডে শেয়ার করা। যত কিছু করা হোকনা করা দিন শেষে আমাদের স্কুল জীবনের বন্ধদের কিন্তু আসম্ভব মিস করতে হবে। সেখানেই ফিরে যেতে হবে।

 

🎒 স্কুল জীবনের বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক কেমন হয়?

১. ভিত্তি গড়ে ওঠে একসাথে বড় হওয়া থেকে:
স্কুল জীবনের বন্ধুরা একসাথে বড় হয়। ছোট ছোট বিষয় শেয়ার করে, একসাথে খেলাধুলা, ঝগড়া, কান্না, হাসি—সব মিলিয়ে একটা “নির্ভেজাল” সময় কাটায়।
তখন কারো মনে ‘প্রতিযোগিতা’, ‘ইমেজ’, ‘স্ট্যাটাস’ এসবের চিন্তা খুব একটা থাকে না।

২. সহজ-সরল ভালোবাসা:
তখন কারো টাকা-পয়সা, পোশাক, রেজাল্ট বা ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে সম্পর্কের ভিত্তি তৈরি হয় না।
একটা ছোট্ট চকলেট নিয়েও ভাগাভাগি করা হয়। এটা একটা আন্তরিকতা তৈরি করে।
৩. পরিচয় নয়, অনুভবের জায়গা:
স্কুল জীবনের বন্ধুদের চেনে তারা কে, সেটার জন্য না—বরং তারা ‘কেমন মানুষ’ সেটা দিয়ে।
তারা তোমাকে জানে তোমার ভুল, দুষ্টুমি, ব্যর্থতা সহ সব কিছু নিয়ে। তবুও তারা তোমার পাশে থাকে।

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সম্পর্ক কেমন হয়?


১. নিজেকে প্রমাণ করার একটা চাপ:
অনেকেই নিজেকে “লেভেল” দেখানোর চেষ্টা করে।
যেমন, বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি, তাতে স্ট্যাটাস আছে—এই চিন্তা থেকে স্টোরিতে সেলফি, বড় পোস্ট এসব হয়।
২. প্রতিযোগিতা আর পারফরম্যান্স:
সবাই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত। অনেক সময় সম্পর্কটা থাকে প্রয়োজনের উপর ভিত্তি করে।
নেটওয়ার্কিং, সিভি বানানো, রেফারেন্স — এসব বিষয় বেশি গুরুত্ব পায়।
৩. বন্ধুত্বের জায়গায় ফিল্টার বেশি:
কে কতটা “ইউজফুল” বা “স্টাইলিশ” বা “পপুলার”— এসব দিয়ে বন্ধুত্ব তৈরি হয়।
নিখাদ ভালোবাসার জায়গাটা অনেক সময় অনুপস্থিত থাকে।

তাই দিন শেষে স্কুল জীবনের বন্ধুরাই বেশি মিস হয় কেন?
কারণ তারা ছিল “নির্বিষ” — কোন ধান্দা ছাড়াই শুধু ভালোবাসা।
তারা তোমার ভুলেও পাশে থেকেছে, তোমার সাফল্যকে নিজের মনে করে আনন্দ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে যতই নতুন মানুষ আসুক, পুরনো সেই স্মৃতি, সেই বন্ধুদের জায়গা কেউ নিতে পারে না।


তাই সময় থাকতে কী করা উচিত?
স্কুলের বন্ধুগুলোর সাথে যোগাযোগ রাখো।
মাঝে মাঝে ফোন দাও, মেসেজ করো, দেখা করো।
নস্টালজিয়া শুধু মনে রাখলে হবে না, কিছু স্মৃতি নতুন করে তৈরি করো।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top