সার্টিফিকেট যথেষ্ঠ নয় বেশিরভাগ পেশায় দক্ষতায় নির্ভর মেধাটা কর্মমূখী হলেই সময়ের সাথে মস্তিস্কটা হবে উ

সার্টিফিকেট যথেষ্ঠ নয় বেশিরভাগ পেশায় দক্ষতায় নির্ভর। মেধাটা কর্মমূখী হলেই সময়ের সাথে মস্তিস্কটা হবে উর্বর। সার্টিফিকেট দিয়ে সফল মানুষ সংখ্যায় খুব অল্প। মামা খালু নেই এই ধরনের অজুহাত দিয়ে সাজানো বেকারত্বের গল্প। যা আছে তা নিয়ে লড়ে যাওয়ার অধম্য ইচ্ছা শক্তি যদি থাকে। সফলতা দেখা দিবে অচেনা পথের গল্পে।

🔹 সার্টিফিকেট যথেষ্ট নয়, দক্ষতা মুখ্য

আজকের যুগে শুধুমাত্র সার্টিফিকেট বা ডিগ্রি থাকলেই সফলতা নিশ্চিত নয়। একসময় হয়তো ডিগ্রি-ভিত্তিক চাকরির গুরুত্ব ছিল বেশি, কিন্তু এখন সময় বদলেছে।

কারণ:

  • অনেকেই ভালো সার্টিফিকেট থাকা সত্ত্বেও বাস্তব দক্ষতায় পিছিয়ে থাকেন।
  • শিল্প-বাণিজ্য, প্রযুক্তি, উদ্যোক্তা ক্ষেত্র এখন skill-based economy হিসেবে পরিচিত।
  • এখন প্রতিষ্ঠানগুলো চায় বাস্তব অভিজ্ঞতা, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা, টিমওয়ার্ক এবং যোগাযোগ দক্ষতা।

🔹 কর্মমুখী মেধার প্রয়োজনীয়তা

“মেধাটা কর্মমূখী হলেই সময়ের সাথে মস্তিষ্কটা হবে উর্বর।”

এই বাক্যটি অত্যন্ত গভীর অর্থবহ। যদি মেধাকে কেবল পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটি একসময় নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। কিন্তু মেধা যদি কর্মে, নতুন কিছু শেখা ও প্রয়োগে ব্যবহৃত হয়, তাহলে তা দিনে দিনে আরও কার্যকর হয়ে ওঠে।

উদাহরণ:
যে ছাত্রটি কোডিং শেখে ইউটিউব দেখে এবং নিজের অ্যাপ তৈরি করে—তার দক্ষতা অনেক বেশি বাস্তব, যদিও তার হয়তো কোনো ফর্মাল সার্টিফিকেট নেই।

🔹 সফল মানুষ সার্টিফিকেট দিয়ে নয়, দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি ও প্রয়োগে সফল

“সার্টিফিকেট দিয়ে সফল মানুষ সংখ্যায় খুব অল্প।”

সফল মানুষদের জীবন কাহিনিতে প্রায়ই দেখা যায়—তারা কোনো না কোনোভাবে প্রচলিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে, নিজেদের শ্রম, চেষ্টা ও নতুন ভাবনার মাধ্যমে সফলতা অর্জন করেছেন।

উদাহরণ:

  • স্টিভ জবস (Apple), বিল গেটস (Microsoft), মার্ক জাকারবার্গ (Facebook) – সবাই ড্রপআউট ছিলেন কিন্তু সফল হয়েছেন কারণ তারা দক্ষতা ও চিন্তার প্রয়োগে অগ্রগামী ছিলেন।

🔹 “মামা-খালু নেই” – অজুহাত নয়, সংগ্রামই পথ

“মামা খালু নেই এই ধরনের অজুহাত দিয়ে সাজানো বেকারত্বের গল্প।”

আমরা অনেকেই চাকরি না পাওয়ার পেছনে ‘যোগাযোগ নেই’, ‘লোক লাগবে’, ‘সিস্টেম ভালো না’—এইসব অজুহাত দেই। তবে বাস্তবতা হলো—সংগ্রাম ছাড়া কিছুই সম্ভব না। বর্তমানে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, ফ্রিল্যান্সিং, ইউটিউব, ই-কমার্সসহ অনেক পথ উন্মুক্ত যেখানে কোনো সুপারিশ ছাড়াই নিজেকে প্রমাণ করা যায়।

🔹 যা আছে, তা নিয়েই লড়াই – এটিই মূল চাবিকাঠি

“যা আছে তা নিয়ে লড়ে যাওয়ার অধম্য ইচ্ছা শক্তি যদি থাকে, সফলতা দেখা দিবে অচেনা পথের গল্পে।”

আমাদের হাতে যা আছে—একটা স্মার্টফোন, ইন্টারনেট, সময়, চেষ্টা—এসব দিয়েই শুরু করা যায়। নিজেকে বারবার জিজ্ঞেস করতে হবে:
“আমি যা পারি, তা দিয়ে কী কিছু শুরু করা যায়?”


✅ উপসংহার:

আজকের পৃথিবীতে শুধু সার্টিফিকেট নয়, প্রয়োজন নিজেকে প্রমাণের সাহস, দক্ষতা অর্জনের ইচ্ছা, এবং নিরবিচারে লড়াই চালিয়ে যাওয়া মানসিকতা। যেকোনো প্রতিকূলতা, বাধা, কিংবা সীমাবদ্ধতাও সফলতার পথে রূপ নিতে পারে—যদি মন ও মনোযোগ সঠিক পথে থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top