
রাজপ্রসাধে ডুকতেও রাজার অনুমতি লাগেনি লেগেছে িএশ টাকা মাএ। সময় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক আমরা সর্বদায় ছাএ। যা অর্জন সেটাও মহাকাল নেবে কেড়ে। নিথর দেহটা ঘুমাবে ছোট্ট মাটির ঘরে। লড়াই আর বড়াই কোনটাই আমাদের জন্য নয়অ আমরা মানুষ মনুষ্যত্ব হোক আসল পরিচয়।
১. “রাজপ্রসাধে ডুকতেও রাজার অনুমতি লাগেনি লেগেছে িএশ টাকা মাএ।”
এই পঙ্ক্তিতে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, রাজপ্রাসাদের মতো গৌরবময় ও ক্ষমতার স্থানে প্রবেশের জন্য এখন আর সম্মান বা অনুমতি নয়, প্রয়োজন কেবল টাকা। এখানে সামাজিক বাস্তবতার একটি কঠিন সত্য তুলে ধরা হয়েছে—আজকের সমাজে অর্থই যেন একমাত্র ক্ষমতা।
২. “সময় শ্রেষ্ঠ শিক্ষক আমরা সর্বদায় ছাএ।”
এখানে সময়কে একজন শিক্ষক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে, এবং মানুষকে সেই শিক্ষকের ছাত্র হিসেবে। অর্থাৎ সময়ের হাত ধরেই আমরা শিক্ষা নিই, অভিজ্ঞতা অর্জন করি—এবং এই শিক্ষা সারাজীবনের জন্য।
৩. “যা অর্জন সেটাও মহাকাল নেবে কেড়ে।”
এই লাইনটি জীবনের নশ্বরতার দিকটি তুলে ধরে। যত কিছুই অর্জন করি না কেন—জ্ঞান, অর্থ, খ্যাতি—সবকিছুই একদিন সময় বা “মহাকাল” কেড়ে নেবে। এখানে মৃত্যু বা চূড়ান্ত পরিণতির ইঙ্গিত রয়েছে।
৪. “নিথর দেহটা ঘুমাবে ছোট্ট মাটির ঘরে।”
এই লাইনটি মৃত্যুর বাস্তব চিত্র তুলে ধরে। মানুষের দেহ একসময় নিথর হয়ে যায় এবং তা শায়িত হয় কবর বা সমাধিস্থলে, যা “ছোট্ট মাটির ঘর” হিসেবে বলা হয়েছে।
৫. “লড়াই আর বড়াই কোনটাই আমাদের জন্য নয়”
এই লাইনটি অহংকার ও ক্ষমতার প্রতিযোগিতাকে প্রত্যাখ্যান করে। বলা হচ্ছে, যুদ্ধ (লড়াই) কিংবা গর্ব/অহমিকা (বড়াই)—এই দুটিই মানুষের প্রকৃত ধর্ম নয়।
৬. “আমরা মানুষ মনুষ্যত্ব হোক আসল পরিচয়।”
এই সমাপ্তি পঙ্ক্তিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটি দেওয়া হয়েছে—মানুষ হিসেবে আমাদের প্রকৃত পরিচয় হবে আমাদের মনুষ্যত্বে, মানবতাবোধে। জাত, ধর্ম, অর্থ কিংবা ক্ষমতা নয়, বরং সহানুভূতি, ন্যায়বোধ, ভালোবাসা—এই গুণাবলিই মানবতার প্রকৃত চিত্র।
সারসংক্ষেপে বার্তাটি:
এই রচনাটি একটি মানবতাবাদী, দার্শনিক ও আত্মজাগরণমূলক কবিতা বা বক্তব্য, যেখানে সময়, মৃত্যু, অর্থ, অহংকার এবং মানবিকতা নিয়ে গভীরভাবে ভাবা হয়েছে। এতে ব্যক্তি ও সমাজকে উদ্দীপিত করা হয়েছে যেন তারা অর্থ বা ক্ষমতার মোহে না হারিয়ে মানবিক গুণাবলি ধরে রাখে।