যার ঘরেই শান্তি নাই বইটা হাতে তবুও তীরে নাউ না বিড়াই। নদীর এপাড়ে আর ঐ পাড়ে সমান দুঃখ থাকে সোজা পথটাও পথ বদলায় যখন গন্তব্য থাকে পথের বাকে। একপাড় থেকে বুঝা যায় না অন্য পাড়ের কষ্ট। অর্থ আভিযাত্ম গড়তে গিয়ে অনেকে হয়েছে পথ বষ্ট।
“যার ঘরেই শান্তি নাই বইটা হাতে তবুও তীরে নাউ না বিড়াই।”
অর্থ:
যার নিজের ঘরেই (বা নিজের জীবনে) শান্তি নেই, সে অন্য কোথাও শান্তি খুঁজতে চাইলেও আসলে সেখানে পৌঁছাতে পারে না। যদিও সে চেষ্টা করে, কিন্তু নৌকাটি তীরে ভিড়াতে পারে না – অর্থাৎ সমস্যার সমাধান পায় না।
ভাবার্থ:
যদি মানুষের নিজের মন বা ঘরে অশান্তি থাকে, তবে বাইরের কোনো শান্তি তাকে তৃপ্ত করতে পারে না। মনের শান্তি ছাড়া বাহ্যিক সুখ বৃথা।
“নদীর এপাড়ে আর ঐ পাড়ে সমান দুঃখ থাকে”
অর্থ:
আমরা অনেক সময় ভাবি, অন্যের অবস্থা আমাদের চেয়ে ভালো। কিন্তু বাস্তবতা হলো – দুঃখ, কষ্ট সব জায়গায়, সব মানুষের জীবনে কোনো না কোনোভাবে থাকে।
ভাবার্থ:
অন্যের জীবন দেখে হিংসা বা আফসোস না করে নিজের অবস্থার মধ্যে শান্তি খোঁজা উচিত। কারণ, সব পাড়েই দুঃখ আছে – শুধু তার ধরন ভিন্ন।
“সোজা পথটাও পথ বদলায় যখন গন্তব্য থাকে পথের বাকে।”
অর্থ:
জীবনে আমরা অনেক সময় সহজভাবে এগোতে চাই, কিন্তু লক্ষ্য যদি জটিল বা দূরে হয়, তবে পথও বাঁক নেয়, কঠিন হয়ে যায়।
ভাবার্থ:
জীবনের লক্ষ্য যদি কঠিন হয়, তবে সহজভাবে সে পথে এগোনো যায় না। জীবন তখন ঘুরপথে, চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে চলে।
“একপাড় থেকে বুঝা যায় না অন্য পাড়ের কষ্ট।”
অর্থ:
বাইরের থেকে অন্যের জীবনের কষ্ট বোঝা যায় না।
ভাবার্থ:
কাউকে না জানলে, তার ভেতরের যন্ত্রণাও বোঝা যায় না। তাই সহজে কাউকে বিচার করা উচিত নয়।
“অর্থ আভিজাত্য গড়তে গিয়ে অনেকে হয়েছে পথ বষ্ট।”
অর্থ:
ধন-সম্পদ বা সামাজিক মর্যাদা অর্জনের চেষ্টা করতে গিয়ে অনেকে ভুল পথে চলে গেছে বা বিপথে গেছে।
ভাবার্থ:
অর্থ বা অভিজাত জীবন পাওয়ার লোভে অনেকে নৈতিকতা হারিয়ে ফেলে, জীবনের মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়।
সারাংশ:
এই লেখাটি আমাদের শেখায়—
১. নিজের মন ও ঘরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা জরুরি।
২. অন্যের কষ্ট আমরা বাইরে থেকে বুঝতে পারি না।
৩. জীবনে লক্ষ্য অর্জনের পথে বাঁক আসবেই।
৪. সুখ বা শান্তি অর্থ দিয়ে সবসময় কেনা যায় না।
৫. প্রকৃত জীবনযাত্রা গড়তে হলে আত্মিক শান্তি ও নৈতিকতা রক্ষা করতে হয়।