মেধাবী শিক্ষার্থীর মেধা আছে কমতি আছে নৈতিকতার আদব কায়দার ঘাটতি থাকলে কিভাবে কাটবে উওাল ঠেউয়ে সাতার শ


মেধাবী শিক্ষার্থীর মেধা আছে কমতি আছে নৈতিকতার। আদব কায়দার ঘাটতি থাকলে কিভাবে কাটবে উওাল ঠেউয়ে সাতার। শিক্ষা সে তো আচরনের পরিবর্তন। নিজের মধ্যে ধারন করলে তবেই করবে সমর্থন। শিক্ষক যদি ছাএকে আদব কায়দা শিখাতে না পারে। লান্চিত হবে বন্চিত রবে দায় বর্তাবে শিক্ষকেরই গাড়ে।

📌 ১. মেধা বনাম নৈতিকতা

* মেধা হলো জ্ঞান অর্জনের ক্ষমতা, শিখতে পারার গুণ।
নৈতিকতা ও আদব-কায়দা হলো সেই জ্ঞানের ব্যবহারিক দিক — কেমন ব্যবহার করবে, সমাজে কেমন আচরণ করবে।
* শুধু মেধা থাকলে চলবে না — নৈতিকতার অভাবে সেই মেধাই একসময় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

উদাহরণ:

* দুর্নীতিবাজ মেধাবী কর্মকর্তার কথা চিন্তা করুন — দেশ ও সমাজের ক্ষতি করে।

* অপরদিকে, নৈতিক, ভদ্র, শালীন আচরণকারী মাঝারি মেধার মানুষ সমাজের জন্য অনেক কল্যাণকর হতে পারে।


📌 ২. কেন আদব-কায়দা ও নৈতিকতা শেখা জরুরি

* আচার-ব্যবহার মানুষের পরিচয়।
* শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবর্তন
* লেখাপড়া করে যদি উগ্র, অহংকারী, অন্যের প্রতি অসম্মান দেখানো শেখে, তাহলে সে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করেনি।
* মেধা দিয়ে সফল হওয়া যায়, নৈতিকতা দিয়ে সম্মান পাওয়া যায়।

 

📌 ৩. শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা

* শিক্ষক হলেন আদর্শের ধারক ও বাহক।
* শিক্ষকের দায়িত্ব শুধু বই পড়ানো নয়, বরং ব্যক্তিত্ব গঠন শেখানো।
* শিক্ষক যদি নিজে শিষ্টাচারপূর্ণ, বিনয়ী, সত্যবাদী হন, তাহলে ছাত্ররাও সেটা অনুসরণ করবে।
* শিক্ষক যদি ব্যর্থ হন নৈতিকতা শেখাতে, তার দায় শিক্ষক-প্রতিষ্ঠান-সমাজ সকলের।
পরিবারের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। শুধু শিক্ষকের দায়িত্ব নয়, পরিবারকেও নৈতিকতার বীজ বপন করতে হবে।


📌 ৪. কীভাবে নৈতিকতার ঘাটতি পূরণ করা যায়?

নিজের ভেতর পরিবর্তনের ইচ্ছা আনতে হবে।

* আত্মবিশ্লেষণ করা — “আমি কেমন আচরণ করছি? এটা কি অন্যকে কষ্ট দিচ্ছে?”
সুশিক্ষিত মানুষদের অনুসরণ করা — গুরু, বড় ভাই, শিক্ষক, ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ।

প্রাত্যহিক ছোট ছোট অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে:

* “ধন্যবাদ” ও “ক্ষমা চাইতে শেখা”
* বড়দের সম্মান, ছোটদের স্নেহ করা।
* অহংকার কমিয়ে বিনয়ী হওয়া।
* সত্য বলা, অন্যের ক্ষতি না করা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষককে:

* ক্লাসের মধ্যে নৈতিক শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা।
* শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত আলোচনা, পরামর্শ দেওয়া।
* অনুশীলনমূলক শিক্ষা দেওয়া — যেমন নাটক, বিতর্ক, গল্প বলা — যার মাধ্যমে নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া যায়।


📌 ৫. উওাল ঠেউয়ে সাতার শেখা মানে কী?

আপনার লেখার “উওাল ঠেউয়ে সাতার” মানে হচ্ছে —

জীবনের প্রতিকূলতা, লোভ, অহংকার, আবেগের ঝড়

* নৈতিকতার অভাব থাকলে এই সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতিতে মানুষ ভুল পথে যেতে পারে

আদব-কায়দা ও নৈতিকতা থাকলে জীবনযুদ্ধে সঠিক পথে এগিয়ে থাকা যায়।


📌 ৬. সংক্ষেপে বললে:

বিষয় করণীয়
মেধা অর্জন করো
নৈতিকতা নিজের মধ্যে চর্চা করো
আদব-কায়দা বড়দের অনুসরণ করো, ছোটদের ভালোবাসো
শিক্ষক নৈতিক শিক্ষা দেবার জন্য সচেষ্ট হও
পরিবার শিক্ষা ও সংস্কারের মূল ভিত্তি

 

শেষ কথা:

শিক্ষা যদি আচরণের পরিবর্তন না আনে, সেটা অসম্পূর্ণ শিক্ষা। মেধাবী হয়েও নৈতিকতাহীন হলে সে নিজের জীবন ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top