মাছ মাংস পরের কথা সবজি কিনতেই খাচ্ছি হিমশিম এক হাজার টাকার বাজোরেও ব্যাগ ভরবে না এটা ভাবি নাই কোন দি

মাছ মাংস পরের কথা সবজি কিনতেই খাচ্ছি হিমশিম। এক হাজার টাকার বাজোরেও ব্যাগ ভরবে না এটা ভাবি নাই কোন দিন। পাঁচশো টাকায় উপার্জনেও চলে অধিকাংশ মানুষের সংসার। কিভাবে খরছ মিটাবে খাদ্য বস্ত বাসস্থান শিক্ষা চিকিৎসার। দেশীয় পন্যের দাম বৃদ্ধি এটাও নাকি ডলার সংকটের কারন। অসাধু ব্যাবসায়ীদের জন্য কৃওিম সংকট কে করবে বারন।

🔴 ১. নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি কেন?

‌‌‌✅ ‌ক) ডলার সংকট

  • আমদানি পণ্যের জন্য বাংলাদেশকে ডলার দিয়ে পেমেন্ট করতে হয়। ডলারের সরবরাহ কমে গেলে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক আমদানিতে বাধা দেয় বা সীমিত করে দেয়।
  • এতে চাহিদা বেশি, কিন্তু সরবরাহ কম—ফলে দাম বাড়ে।

‌✅ খ) দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন (টাকার মান কমে যাওয়া)

  • এক সময় ১ USD = ৮৫ টাকা ছিল, এখন সেটা অনেক বেশি। ফলে আমদানি পণ্যের দাম স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায়।

✅ গ) পণ্যের উপর অসাধু মজুদদার ও মধ্যস্বত্বভোগীদের প্রভাব

  • কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়ানো হয়।
  • সরকারের নজরদারি দুর্বল হলে এরা সুযোগ নেয়।
  • কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী বাজারে ঘাটতি দেখিয়ে মনগড়া দাম বসায়।

✅ ঘ) জ্বালানি ও পরিবহন ব্যয় বৃদ্ধি

  • ডিজেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ—এসবের দাম বাড়লে পরিবহন খরচ বাড়ে।
  • সরাসরি এর প্রভাব পড়ে বাজারে পণ্যের মূল্যে।

🔴 ২. কেন ৫০০ টাকায় সংসার চালানো কঠিন হচ্ছে?

✅ ক) আয় বেড়েছে কম, ব্যয় বেড়েছে বেশি

  • নিম্ন আয়ের মানুষের বেতন বাড়ছে ধীরে, কিন্তু খরচ বেড়েছে কয়েক গুণ।

✅ খ) সুবিধাভোগী শ্রেণির সংখ্যা বৃদ্ধি

  • পণ্যের দাম বাড়লেও উচ্চ বা প্রভাবশালী শ্রেণি অনায়াসে কিনতে পারে।
  • এর ফলে দাম কমানোর চাপে বাজার পড়ে না।

✅ গ) বাজারে সরকারি নিয়ন্ত্রণ দুর্বল

  • “টিসিবি”, “ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান”—এসব নির্দিষ্ট সময় বা জায়গায় সীমাবদ্ধ।
  • সারা দেশে কার্যকর ও ধারাবাহিকভাবে নজরদারি নেই।

🔴 ৩. ডলার সংকটের সঙ্গে দেশীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্পর্ক

অনেকে প্রশ্ন করে—চাল, ডাল, আলু, টমেটো তো দেশেই হয়, তাহলে দাম কেন বাড়ে?

✅ ব্যাখ্যা:

  • এই পণ্য উৎপাদনে কৃষকের সার, বীজ, ডিজেল, কীটনাশক লাগে—যা আমদানি করতে হয়।
  • সার ও ডিজেলের দাম বাড়লে কৃষি উৎপাদনের খরচ বেড়ে যায়।
  • আবার কৃষকের থেকে কম দামে কিনে মাঝপথে দাম বাড়িয়ে বাজারে বিক্রি হয়।

🔴 ৪. সমাধানের উপায় কী হতে পারে?

✅ ক) দ্রুত নীতি হস্তক্ষেপ প্রয়োজন

  • নিত্যপণ্যের বাজারে কঠোর নজরদারি
  • মজুদদার ও সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য শক্ত ব্যবস্থা

✅ খ) টিসিবির কার্যকারিতা বাড়ানো

  • স্বল্পমূল্যে পণ্য বিক্রি আরো বেশি এলাকায় ছড়িয়ে দিতে হবে

✅ গ) দেশীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে প্রণোদনা

  • কৃষককে বাঁচাতে সরকারকে সার, ডিজেল, বিদ্যুতে ভর্তুকি দিতে হবে

✅ ঘ) জবাবদিহিতার ব্যবস্থা

  • কোনো ব্যবসায়ী বা আমদানিকারক সিন্ডিকেট করলে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা

🔴 ৫. সাধারণ জনগণ কী করতে পারে?

  • ‍সম্ভব হলে বাজার বর্জনের ক্ষুদ্র প্রতিরোধ গড়া
  • ভোক্তা অধিকার সংস্থায় অভিযোগ করা
  • সচেতনতা বাড়ানো—বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top