প্রবাসে গিয়ে কাজকাম করতে লজ্জা করেনা কাজটা যতই হোক ছোট। নিজ দেশে এসে কাজ করলে মান সম্মান থাকে না চিন্তা ভাবনারাও উকি দেয়। দূর প্রবাসের ঘাটক আপনজনরাও নেয় না খোজ। দুশচিন্তায় কাটছে দিন। ঝনের বোঝা মাথায় নিয়ে ভাবছে কবে ফিরবে সুদিন। দূর প্রবাসে গিয়েও আর্থিক সফলতা নিয়ে পিরে বা কয়জন। বেশির ভাগই পরাজয় মেনে নেয় খুশি করতে গিয়ে পরিবার পরিজন আত্মীয় স্বজন।

🔹 ১. প্রবাসে কাজ করতে লজ্জা নেই, দেশে করলেই অপমান!
বিদেশে গিয়ে মানুষ যে কোনো ধরনের কাজ করতে দ্বিধা করে না – হোক সেটা ক্লিনার, কনস্ট্রাকশন শ্রমিক, রেস্টুরেন্টে কাজ – কারণ সেখানে সেই কাজকে ছোট করে দেখা হয় না। কিন্তু দেশে এসে সেই একই কাজ করলে তাকে “লজ্জার” চোখে দেখা হয়।
➡️ এই মনোভাব তৈরি হয়েছে সমাজের ভুল দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, যেখানে কাজের চেয়ে পদ-পদবি বা আড়ম্বর বেশি গুরুত্ব পায়।
🔹 ২. দূর প্রবাসে আপনজনের খোঁজ না নেওয়া
বিদেশে থাকা প্রবাসীদের অনেকেই অভিযোগ করেন –
“যখন দেশে টাকা পাঠাই, তখন সবাই ভালোবাসে। কিন্তু অসুস্থ হলে বা সমস্যায় পড়লে কেউ পাশে থাকে না।”
➡️ এটি এক ধরণের সামাজিক অবমূল্যায়ন, যেখানে প্রবাসীকে শুধু “আয়ের উৎস” হিসেবে দেখা হয়, একজন মানুষ হিসেবে নয়।
🔹 ৩. দুশ্চিন্তা, অবসাদ ও মানসিক চাপ
প্রবাসীদের একটি বড় অংশ মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটান:
- ভাষার সমস্যা
- নতুন পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়া
- পরিবার থেকে দূরে থাকা
- ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা
➡️ এই চাপ অনেক সময় অবসাদ, একাকীত্ব এমনকি আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্তেও নিয়ে যেতে পারে।
🔹 ৪. আর্থিক সফলতা – কয়জনের ভাগ্যে জোটে?
অনেকে ভাবেন বিদেশ মানেই “টাকা”, “বাড়ি”, “গাড়ি”, কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন:
- অনেকেই খরচ সামলে কিছুই জমাতে পারেন না
- ভিসা, কাজের অনিশ্চয়তা, আয়ের অস্থিরতা
- পরিবারকে খুশি করতে গিয়ে নিজের প্রয়োজন ভুলে যান
➡️ আর্থিকভাবে সফল হওয়ার হার তুলনামূলকভাবে কম। কিন্তু সামাজিক চাপে কেউ মুখ খুলে বলতে পারে না।
🔹 ৫. পরিবারের প্রত্যাশা ও আত্মত্যাগ
অনেক সময় পরিবারের চাপ ও “মান রাখার” দায়ে প্রবাসীরা নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দেন। অনেকে বিয়ে করেন না, ছুটি কাটাতে দেশে যান না, সবার সুখের জন্য নিজের জীবনকে বলি দেন।
🔹 ৬. সমাধানের পথ কী হতে পারে?
- সমাজকে কাজের মর্যাদা দিতে শেখাতে হবে
- প্রবাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে
- তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে
- দেশে ফিরে এসেও যেন তারা সম্মানের সঙ্গে জীবিকা চালাতে পারেন, সেই পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে