প্রতিবেশীরা মন থেকে চায় না তুমি সফল হও দুঃখে কষ্টে গড়া জীবন অন্ধকারে পড়ে রও বাড়ি গাড়ি তোমার হলে তাদে

প্রতিবেশীরা মন থেকে চায় না তুমি সফল হও।  দুঃখে কষ্টে গড়া জীবন অন্ধকারে পড়ে রও। বাড়ি গাড়ি তোমার হলে তাদের কেন জ্বলবে। হিংসা আর বিদ্বেষ এভাবে আর কত কাল চলবে। কোটিকোটি মানুষ অথচ প্রতিযোগিতা পাশের বাড়ির সাথে। তুমি যদি সফল হও তাদের ঘুম হবে কি রাতে।

🔶 কেন প্রতিবেশীরা চায় না তুমি সফল হও?

১️. মানসিকতা ও ছোট পরিসরের জগৎ:

মানুষের মন স্বাভাবিকভাবে তুলনা প্রবণ।

* তাদের চিন্তাজগৎ সীমিত থাকে নিজের পরিবার, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনের মধ্যে।

* পাশের বাড়ির কেউ যখন ভালো কিছু অর্জন করে, তখন সেটাকে নিজের ‘পরাজয়’ ভাবতে শুরু করে।

২️. অপ্রাপ্তি ও অতৃপ্তি:

অনেকেই নিজের জীবনে যা পায়নি, সেটা অন্যের কাছে দেখে হিংসা তৈরি হয়।

* ‘সে পারলো, আমি পারলাম না’ — এই মানসিকতা মানুষকে পোড়াতে থাকে।

৩️. প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র সংকুচিত:

আমাদের দেশে শিক্ষার অভাব বা জীবনদর্শনের সীমাবদ্ধতায় অনেকেই মনে করে,

“আমার প্রতিবেশীই আমার প্রতিযোগী”

* কোটিকোটি মানুষের দেশে এগিয়ে যাওয়ার আসল প্রতিযোগিতা তো দেশের বা পৃথিবীর সঙ্গে, কিন্তু মানুষ সেটা দেখতে পায় না, দেখে শুধুই পাশের বাড়িটা।


🔶 হিংসা ও বিদ্বেষের কারণ

১️. স্বার্থপরতা ও অহংকার
২️. সীমিত চিন্তাধারা ও গোঁড়ামি
৩️. ‘খারাপ হলে সুখ’ — এই মানসিক বিকৃতি
৪️. নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে অন্যের সফলতা ছোট করা


🔶 ফলাফল কী হয়?

* সমাজে বিভক্তি তৈরি হয়।
* ভালো মানুষগুলো একঘরে হয়ে যায়।
* পরিবারগুলোর মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়।
*সমাজে নেগেটিভিটি বাড়ে, সম্মিলিত উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়।


🔶 এর থেকে মুক্তির উপায়

১️. শিক্ষা ও আত্মউন্নয়ন: মানুষের মানসিকতা বদলাতে শিক্ষা দরকার, শুধুমাত্র সার্টিফিকেট না — মন ও হৃদয়ের শিক্ষার দরকার।

২️. ব্যক্তিগত ফোকাস: কে কী বললো তার দিকে নজর না দিয়ে নিজের উন্নতির দিকে ফোকাস রাখা।

৩️. আত্মবিশ্বাস তৈরি করা: “আমার অর্জন আমার জন্য, অন্যের ব্যর্থতা তার নিজের জন্য।” — এই চিন্তাভাবনা লালন করা।

৪️. সহযোগিতা ও ইতিবাচকতা: প্রতিবেশীদের প্রতি সদয় থাকা, তাঁদের ভালো চাইতে শেখা। এটা করলে ধীরে ধীরে সমাজে পরিবর্তন আসতে পারে।

৫️. প্রতিযোগিতা বড় করতে হবে: পাশের বাড়ি নয় — পৃথিবীর সেরা মানুষদের সাথে নিজের প্রতিযোগিতা ভাবা।


সংক্ষেপে উপসংহার:

প্রতিবেশীদের হিংসা বা বিদ্বেষ কখনোই থামবে না, যদি না ব্যক্তি ও সমাজ সচেতন হয়। তবে আপনি নিজের কাজে মন দিন, সফল হোন, এবং প্রয়োজনে তাদের এই ‘জ্বালা’কেও হাসিমুখে গ্রহণ করুন। সফলতার প্রকৃত সৌন্দর্য হচ্ছে — কেউ চাইলে বা না চাইলে — এগিয়ে যাওয়া।

👉 “তোমার আলো দেখে কেউ জ্বলুক, কিংবা না জ্বলুক — তুমি জ্বলতেই থাকবে।”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top