পাহাড় কিংবা সমতল সবিতো মানচি্েএর একটা অংশ বাংলাদেশ সেনাবাহীনি নিরাপওা দিলে হবে না আর কোন সহিংস্র পাহ

পাহাড় কিংবা সমতল সবিতো মানচি্েএর একটা অংশ। বাংলাদেশ সেনাবাহীনি নিরাপওা দিলে হবে না আর কোন সহিংস্র। পাহাড়ী না আহাড়ী বাঙ্গালী না কাঙ্গালী। এসব নিয়ে দেশের মানুষের মাথা ব্যাথা নয়। বাংলাদেশ সেনাবাহীনি নিরাপওা দিলে বুঝিনা তাদের। সমস্যাটা কি হয়। পিছিয়ে পড়া নৃগোষ্ঠী যদি উগ্রতা আর সহিংস্রতা প্রতিক হয়। বিদেশী প্রর্যটকও প্রার্বত্য অন্চলে আসতে পাবে ভয়।

১. সহিংসতা ও উগ্রতা:

পার্বত্য এলাকায় নানা কারণে সময়ে সময়ে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। এর পেছনে রয়েছে:

অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য: পাহাড়ি জনগোষ্ঠী অনেক সময় নিজস্ব জীবিকা ও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়, ফলে তাদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ জন্মায়।

রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়: পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও কখনো কখনো স্থানীয় জনগোষ্ঠীর দাবি ও চাহিদা পুরোপুরি পূরণ হয় না। ফলে হতাশা সৃষ্টি হয়।

*বাহ্যিক প্ররোচনা: কিছু সময় রাজনৈতিক বা সশস্ত্র গোষ্ঠী বাহ্যিক সহায়তা নিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার চেষ্টা করে।

২. বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা:

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা বাহিনী পার্বত্য অঞ্চলে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করে আসছে। তাদের কাজ হলো:

* সহিংসতা রোধ করা,

* নৃগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,

* সরকারি ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সহযোগিতা প্রদান করা,

* এবং বিদেশী পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করা।

৩. পর্যটন ও নিরাপত্তা:

পার্বত্য অঞ্চলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষণ করে। কিন্তু সহিংসতা ও নিরাপত্তা সমস্যার কারণে পর্যটকরা ভয় পায়, যা ঐ অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ব্যাহত করে।

৪. সমস্যার মূলে:

মূলত পার্বত্য অঞ্চলের নৃগোষ্ঠীদের দীর্ঘদিনের অভাব, অধিকার, শিক্ষা ও সুযোগ-সুবিধার অপ্রতুলতা ও ভুল প্রশাসনিক নীতির কারণে সমস্যা গড়ে ওঠে। সুতরাং শুধুমাত্র সেনাবাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। সামাজিক, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নৃগোষ্ঠীর অধিকার ও স্বীকৃতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।


সংক্ষেপে:

* পাহাড়ি নৃগোষ্ঠীর উন্নয়ন ও অধিকার নিশ্চিত করাটা অত্যন্ত জরুরি।
* সেনাবাহিনী নিরাপত্তা দিলে সহিংসতা কমানো যায়, কিন্তু সমগ্র সমস্যার মূলে নৃগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সরকারি সহায়তা থাকতে হবে।
* পার্বত্য অঞ্চলে সহিংসতা না হলে বিদেশী পর্যটক নির্ভয়ে আসতে পারবে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাহায্য করবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top