দু মুঠো ভাত এ আর এমন কি কঠিন ছিল যখন বাপের হোটেলে মা খেতে দিল। যে বাবা স্বপ্ন দেখতো সন্তানের চোখে সন

দু মুঠো ভাত এ আর এমন কি কঠিন ছিল যখন বাপের হোটেলে মা খেতে দিল। যে বাবা স্বপ্ন দেখতো সন্তানের চোখে সন্তান বড় হয়ে হাসি ফোটাবে বাবার চোখে। বাস্তবতা ভিন্ন রক্তে মাংসে গড়া সন্তান ও করতে চায় চিহ্ন। সময় বদলা নেয় সন্তানও বাবা হবে হিসাব বরাবর বুঝিয়ে দিবে। আফসোসের দেওয়ালে হয়ে যায় বন্দি কিছু হিসাবের হবে না কোন সন্ধি।

 

🧩 লেখাটির মূল ভাব ও ব্যাখ্যা

“দু মুঠো ভাত এ আর এমন কি কঠিন ছিল যখন বাপের হোটেলে মা খেতে দিল।”

১. এই লাইনটি বোঝায় অতীতে সন্তান খুব সহজেই খেতে পারত — কারণ বাবা-মা নিজের কষ্ট ভুলে তাকে খাওয়াতো।
২. “বাপের হোটেল” বলতে বোঝানো হয়েছে বাবার ঘর বা আশ্রয়, যেখানে ছেলেমেয়ে নির্ভার থাকতো।
৩.এখানে মা-বাবার নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ তুলে ধরা হয়েছে।

যে বাবা স্বপ্ন দেখতো সন্তানের চোখে সন্তান বড় হয়ে হাসি ফোটাবে বাবার চোখে।”

১. প্রতিটি বাবা চান তার সন্তান সাফল্য পাক, সেই সাফল্যেই তিনি গর্বিত হবেন।
২. সন্তানের ভবিষ্যতের মধ্যে বাবা নিজের জীবনের পরিপূর্ণতা খোঁজেন।

“বাস্তবতা ভিন্ন রক্তে মাংসে গড়া সন্তান ও করতে চায় চিহ্ন।”

১. বাস্তব জীবনে সন্তান কেবল বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে চায় না; সে নিজেও নিজের স্বকীয়তা, পরিচয় ও অর্জনের চিহ্ন রাখতে চায়।
২. এখানেই বাবা ও সন্তানের চাহিদার ব্যবধান শুরু হয় — বাবা চান সন্তান তাঁর মত হোক, আর সন্তান চায় নিজেকে আলাদা করে চিনাতে।

“সময় বদলা নেয় সন্তানও বাবা হবে হিসাব বরাবর বুঝিয়ে দিবে।”

১.সময়ের সাথে সন্তানও বাবা হয়ে ওঠে এবং তখন সে তার সন্তানের কাছে একই প্রত্যাশা পোষণ করে।
২. জীবন যেন একটি চক্র — যেখানে প্রত্যেকে একসময় বোঝে তার বাবা-মার অবস্থান।

“আফসোসের দেওয়ালে হয়ে যায় বন্দি কিছু হিসাবের হবে না কোন সন্ধি।”

১. কিছু না বলা অভিমান, অপূর্ণ প্রত্যাশা জমে যায় মনে — যা কখনো চুকে না, শুধুই আফসোস হয়ে থেকে যায়।
২. প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এই “হিসাব” চলতে থাকে — বোঝাপড়া হয় না, বরং দূরত্ব সৃষ্টি হয়।


💡 বিষয়টি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

এই লেখাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়—

১. পারস্পরিক বোঝাপড়ার গুরুত্ব, বিশেষ করে বাবা-মা ও সন্তানের মাঝে।

২. স্বপ্ন ও বাস্তবতার সংঘাত — যেটা পরিবারে মানসিক চাপ ও দূরত্ব তৈরি করে।

৩. স্নেহ ও কর্তব্যের ভারসাম্য — সন্তান যেমন ভালোবাসা চায়, তেমনি স্বাধীনতাও চায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top