অর্থনীতি পড়া ছেলেটাও অর্থের অভাবে ভূগে। জায়গাজমি বিক্রি করেছে সরকারির চাকরির লোভে। পড়ালেখা শেষে কর্ম

অর্থনীতি পড়া ছেলেটাও অর্থের অভাবে ভূগে। জায়গাজমি বিক্রি করেছে সরকারির চাকরির লোভে। পড়ালেখা শেষে কর্ম জীবনে পা রাখতে যদি দিতে হয় ঘুষ। শিক্ষিত মানুষরাই অমানুষের খাতায় নাম লেখাবে বেশ। অর্থের কাছে মনুষ্যত্ব হোক না বিক্রি যে করেই হোক সন্তানের জন্য লাগবে একটা সরকারি চাকরি। সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করতে বাবা মা ঘুষ দিতেও রাজি হয় এখান থেকে দূর্নিতীর হাতেগড়ি অলিখিত পরাজয়।

 

🔍 বিষয় বিশ্লেষণ:

১. অর্থনীতি ও শিক্ষিত বেকারত্ব

একজন অর্থনীতি পড়ুয়া ছাত্র অর্থনৈতিক অসচ্ছলতায় ভুগছে—এটি একটি বড় সামাজিক দ্বন্দ্ব।

🔹 প্যারাডক্স (বিরোধ): অর্থনীতির ছাত্র হয়েও নিজেই অর্থ সংকটে।

🔹 বাস্তবতা: দেশে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। শিক্ষায় বিনিয়োগ করেও তারা চাকরি পাচ্ছে না।


২. জায়গাজমি বিক্রি ও সরকারি চাকরির প্রতি আকর্ষণ

🔹 সরকারি চাকরিকে এখনো নিরাপত্তা, সামাজিক মর্যাদা ও নিশ্চিত ভবিষ্যতের প্রতীক হিসেবে দেখা হয়।

🔹 এই কারণে পরিবার জায়গাজমি বিক্রি করে হলেও সরকারি চাকরির পেছনে বিনিয়োগ করছে।


৩. ঘুষ ও দুর্নীতি

🔹 চাকরি পেতে ঘুষ দিতে হয়—এটি সমাজে প্রায় ওপেন সিক্রেট।

🔹 শিক্ষিত মানুষদের এই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে হয়, ফলে তারা নৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ে।

🔹 একটা সময় পর ঘুষ দেওয়াটাই স্বাভাবিক হয়ে ওঠে।


৪. মৌলিক মূল্যবোধের পতন

🔹 “অর্থের কাছে মনুষ্যত্ব হোক না বিক্রি”—এই লাইনটি দুর্দান্তভাবে তুলে ধরে, কিভাবে নৈতিকতা অর্থের কাছে হার মানে।

🔹 অনেক বাবা-মা সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য এই অমানবিক পন্থা মেনে নেয়।


৫. দুর্নীতির হাতেগড়ি ও অলিখিত পরাজয়

🔹 এটি কেবল ব্যক্তি বা পরিবারের পরাজয় নয়, বরং একটি রাষ্ট্রব্যবস্থার পরাজয়ের প্রতীক।

🔹 এই দুর্নীতির শেকড় তখনই গড়ে ওঠে, যখন “ঘুষ” হয় চাকরি পাওয়ার প্রধান মাধ্যম।


🧭 সম্ভাব্য সমাধান:

১. যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা।

২. দুর্নীতি প্রতিরোধে শক্তিশালী ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান গঠন।

৩. জনসচেতনতা বৃদ্ধি—দুর্নীতিকে ‘অপরাধ’ হিসেবে দেখা ও প্রতিরোধ করা।

4. পরিবারের দিক থেকে নৈতিক শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত রাখা।


📌 উপসংহার:

 

 

এই বিষয়টি শুধুমাত্র একটি পরিবারের গল্প নয়, এটি একটি প্রজন্মের সংকট। যেখানে শিক্ষিতরাও অন্যায় পথকে ‘সম্ভাব্য সমাধান’ ভাবতে শুরু করে, সেখানে রাষ্ট্র ও সমাজের দায়িত্ব বহুগুণ বেড়ে যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top